যে প্রয়োজনগুলো সামনে রেখে “বুরহানুল কুরআন রচনা ও সংকলনের প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে, তা নিম্নরূপঃ
১. যথাসাধ্য এমন নির্ভুল অনুবাদ পেশ করা, যা শব্দের মূলধাতু (ماده) এবং কুরআনের বালাগাত ও ফাসাহাত (অলংকার) এবং নাহু (ব্যাকরণ) এর কাছাকাছি থেকে সম্পন্ন হবে।
২. উপরোক্ত নীতিতে অনুবাদ সম্পন্ন করতে গিয়ে প্রচলিত অনুবাদ থেকে কোথাও ব্যতিক্রম ঘটে থাকলে সেই ব্যতিক্রম কেন ঘটল বিশেষ বিশেষ স্থানে তার ব্যাখ্যা সংযুক্ত করে দেয়া, যাতে মাদ্রাসার তালিবে ইলম ও আরবী বোদ্ধা অনুসন্ধিৎসু পাঠকের ব্যুৎপত্তি সৃষ্টির সহায়ক হয়। এরূপ অংশগুলো সাধারণ পাঠকদের কাছে অবোধগম্য থাকলেও তাতে তাদের কুরআনে কারীমের মূল বক্তব্য বোঝার ক্ষেত্রে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না।
৩. সংশ্লিষ্ট অনুবাদ বোঝার জন্য সংক্ষেপে প্রয়োজনীয় টীকা-টিপ্পনী, শানে নুযূল ও সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলী তুলে ধরা।
৪. প্রতিটি আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়গুলো সংক্ষেপে সুবিন্যস্তভাবে পেশ করা, যাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে কুরআনে কারীমের আহকাম ও শিক্ষাগুলো সহজে আয়ত্ত করা সহজ হয়।
৫. কোন বিষয়ের সুদীর্ঘ ব্যাখ্যা ও সুদীর্ঘ তাফসীর থেকে বিরত থাকা, যাতে পাঠকবর্গ দীর্ঘ বর্ণনার আবর্তে পড়ে মূল কথা ও মূল শিক্ষণীয় বিষয় হারিয়ে না ফেলেন।
আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো।জাযাকাল্লাহু খাইরান।
জাযাকাল্লাহ